পাবনার ঘি বিখ্যাত তা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। আর আমরাও তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আপনাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি একদম নির্ভেজাল সরের ঘি। আর সরের ঘি আমাদের সোনামনিদের পছন্দের তালিকায় সবার উপরে থাকে তা বলাই বাহুল্য।
‘ঘি’ শব্দটি সংস্কৃত শব্দ, যার অনুবাদ ‘ছিটানো’। এটি এক ধরনের মাখন যা দুধ থেকে বের করা হয়। গরম আবহাওয়ায় মাখন প্রায়ই নষ্ট হয়ে যেত। ঘি আবিস্কারের ফলে এই সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে। ঘি’তে দুধের কঠিন পদার্থ থাকে না, তাই এটিকে হিমায়নের প্রয়োজন হয় না। ম্যাক্রোবায়োটিক নিউট্রিশনিস্ট এবং হেলথ প্র্যাকটিশনার ‘শিল্পা অরোরা’ লাইফস্টাইল এশিয়াকে একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ঘিতে রয়েছে চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিন। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে। স্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরল বজায় রাখতেও ঘি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এর বাইরেও ঘি এর রয়েছে বেশ কিছু উপকারিতা, লাইফস্টাইল এশিয়া জানিয়েছে সেগুলো। তাই চেষ্টা করুন প্রতিদিন অল্প পরিমাণ হলেও ঘি খাওয়া।
- অন্ত্রের প্রদাহ কমায়
ক্ল্যারিফাইড মাখন বা ঘি বুট্রিক অ্যাসিডের একটি বড় উৎস। এই ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি বিভিন্ন রোগের সাথে লড়াই করে টি-কোষ তৈরি করে। যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। - কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন যে, দুধ এবং ঘি কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য একটি কার্যকর প্রতিকার। এক কাপ গরম দুধে এক বা দুই চা চামচ ঘি মিশিয়ে ঘুমানোর আগে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। - ত্বকের পুষ্টি
ত্বকের জন্য ঘি পুষ্টিকর এজেন্ট হিসাবে কাজ করে। ঘি আপনাকে নরম এবং কোমল ত্বক প্রদান করবে। এটি সব ধরনের ত্বকের জন্য উপযোগী। ত্বকের কোষকে হাইড্রেশন প্রদান করে। একটি পাত্রে দুই টেবিল চামচ বেসন, ঘি এবং পানি মিশিয়ে নিন। মাস্কটি ২০ মিনিটের জন্য মুখে লাগান। মুখের জেল্লা বাড়াতে সপ্তাহে ৩ দিন মাস্কটি লাগান। - চুলের জন্য ঘি
ঘি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এটি চুলে লাগালে মাথার ত্বকের আর্দ্রতা লক করতে পারে। ঘি মাথার ত্বককে মসৃণ রাখে। কম জ্বালা অনুভব করতে সহায়তা করে। ঘি ব্যবহারে চুলে কম তেল লাগে। চুল দেখায় আরও প্রাণবন্ত। - হাড় মজবুত
ঘিতে ভিটামিন কে রয়েছে। এটি ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। হাড়কে করে মজবুত। দাঁতের ক্ষয় রোধেও সাহায্য করে। - ওজন কমাতে
ঘিতে থাকা লিনোলিক অ্যাসিড স্থুলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এটি অপরিহার্য অ্যামিনো অ্যাসিড, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ডকোসাহেক্সায়েনোইক অ্যাসিড (ডিএইচএ) এবং ওমেগা-৬ (সিএলএ) দ্বারা পরিপূর্ণ। এই স্বাস্থ্যকর চর্বি শরীরের অতিরিক্ত চর্বি দূর করে। ঘি চর্বি কোষ পুড়িয়ে শরীরে অতিরিক্ত শক্তি যোগায়। - নাক আটকানো সারায়
আয়ুর্বেদ অনুসারে, ঘি আপনার শরীরকে ভেতর থেকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। এটি নাক আটকে থাকা নিরাময় করতেও সাহায্য করে। ঠাণ্ডার জন্য ন্যাস চিকিৎসা আয়ুর্বেদে খুবই কার্যকরী উপায়। এই চিকিৎসার জন্য সকালে প্রথমে কয়েক ফোঁটা উষ্ণ খাঁটি গরুর ঘি নাসারন্ধ্রে ঢেলে দেওয়া হয়। নাক বন্ধ থাকলে এটি সঙ্গে সঙ্গে ফলাফল দিবে। - ঘি খাওয়ার আরো উপকারিতা
ঘিতে কনজুগেটেড লিনোলিক অ্যাসিড থাকে। যা পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট যা চর্বি কমাতে সাহায্য করে। দুগ্ধজাত উপাদানে যাদের অ্যালার্জি বা সংবেদনশীলতা রয়েছে তাদের জন্য ঘি, মাখনের চেয়ে ভাল। চেষ্টা করুন প্রতিদিন এক বা দুই টেবিল চামচ ঘি খাওয়ার।
Reviews
There are no reviews yet.